Posts

Showing posts from December, 2020

কার্বন এর ক্যাটিনেশন

  ক্যাটিনেশন [Catenation]:- যে ধর্মের জন্য কার্বন পরমাণুগুলি পরস্পর সমযোজী বন্ধনের (এক-বন্ধন, দ্বি-বন্ধন, ত্রি-বন্ধন) সাহায্যে পরস্পর যুক্ত হয়ে সুস্থিত কার্বন শৃঙ্খল গঠন করে, কার্বন পরমাণুর সেই বিশেষ ধর্মকে ক্যাটিনেশন বলে ।   একাধিক কার্বন পরমাণু এক-বন্ধন (-) (single bond), দ্বি-বন্ধন (=) (double bond) বা ত্রি-বন্ধন (≡) (triple bond) দ্বারা পরস্পর যুক্ত হয়ে বিভিন্ন জৈব যৌগ গঠন করতে পারে । [i] এক-বন্ধন (-) (singl bond):- যেমন, ইথেন অণুতে    এবং একই রূপে ইথাইল অ্যালকোহলে কার্বন-কার্বন পরমাণুর মধ্যে এক-বন্ধন সৃষ্টি হয়ছে । [ii] দ্বি-বন্ধন (=) (double bond):- যেমন ইথিলিন অণুতে দ্বি-বন্ধন দেখা যায় অর্থাৎ কার্বন-কার্বন পরমাণুর মধ্যে দ্বি-বন্ধন সৃষ্টি হয়ছে ।  [iii] ত্রি-বন্ধন (≡) (triple bond):- যেমন অ্যাসিটিলিন অণুতে ত্রি-বন্ধন অর্থাৎ কার্বন-কার্বন পরমাণুর মধ্যে ত্রি-বন্ধন সৃষ্টি হয়ছে । H - C ≡ C - H কিন্তু অজৈব যৌগের মধ্যে বন্ধন আয়নীয় ও সমযোজী দুটিই হতে পারে । অজৈব যৌগ সাধারণত আয়ানীয় বন্ধন দ্বারা যুক্ত : যেমন-NaCl, KCl, MgBr2, CaCl2 ইত্যাদি । কিন্তু কিছু কিছু...

জৈব যৌগের এত প্রাচুর্যতা কেন?

  জৈব যৌগের এত প্রাচুর্যতা কেন?  বর্তমানে জৈব যৌগের সংখ্যা প্রায় লক্ষেরও বেশি; অপরদিকে অজৈব যৌগের সংখ্যা প্রায় এক লক্ষের মতো। জৈব যৌগের সংখ্যাধিক্য বা প্রাচুর্যের কারণ তিনটি; যেমন- 💥প্রথমত সমযোজী বন্ধন দ্বারা অধিক সংখ্যক স্ব-পরমাণু যুক্ত হওয়ার কার্বনের বিশেষ ক্ষমতা, যাকে কার্বন পরমাণুর ক্যাটেনেশন(Catenation) বলা হয়। 💥দ্বিতীয়ত জৈব যৌগের সমাণুতা (Isomerism) ধর্ম – এ ধর্ম দ্বারা একই আণবিক সংকেতযুক্ত কিন্তু ভিন্ন গাঠনিক সংকেতের বিভিন্ন ধর্ম বিশিষ্ট জৈব যৌগ রয়েছে। যেমন- রয়েছে। 💥তৃতীয়ত জৈব যৌগের পলিমারকরণ (Polymerisation) ধর্ম – এ ধর্ম দ্বারা পাই বন্ধন যুক্ত ছোট জৈব অণু অসংখ্য সংখ্যায় নিজেদের মধ্যে যুক্ত হয়ে বড় অণুযুক্ত নতুন যৌগ গঠন করে। যেমন- ইথিলিন থেকে পলিইথিলিন এ তিনটি বৈশিষ্ট্যের জন্য মূল কারণ হলো কার্বনের তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান 2.5 এবং কার্বন-কার্বন বন্ধন শক্তি 347kJ mol-1।

জৈব রসায়নের ইতিহাস :

 জৈব রসায়নের ইতিহাস : জৈব রসায়নেরনের জনক ফ্রেডরিখ ভোলার ! ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে রসায়নবিদরা ধারণা করত যে জীব হতে প্রাপ্ত যৌগসমূহ সংশ্লেষণাত্মকভাবে তৈরি করা অত্যন্ত জটিল। প্রাণশক্তি মতবাদ অনুসারে, জৈব পদার্থসমূহ একধরনের প্রাণশক্তির অধিকারী। তারা এসকল যৌগের নাম দিল জৈব যৌগ এবং অজৈব পদার্থের রসায়নের গবেষণায় আত্মনিয়োগ করলো কেননা অজৈব রসায়ন তুলনামূলকভাবে সহজ। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম অর্ধে এটা প্রমাণিত হয় যে জৈব যৌগসমূহ গবেষণাগারে সংশ্লেষণ করা সম্ভব। ১৮১৬ সালের দিকে ফরাসি রসায়নবিদ মাইকেল শেভরিউল চর্বি ও ক্ষারের মাধ্যমে গঠিত সাবান নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। সে উপলব্ধি করলো যে, বিভিন্ন এসিড ও ক্ষারের সমন্বয়ে সাবান তৈরি হয়। তিনি আরও কিছু যৌগ তৈরির মাধ্যমে প্রমাণ করলেন যে প্রাণশক্তির প্রভাব ছাড়াও চর্বির রাসায়নিক পরিবর্তন সাধন সম্ভব। ১৮২৮ সালে জার্মান বিজ্ঞানী ফ্রেডরিখ ভোলার মানুষের মূত্রের একটি জৈব উপাদান ইউরিয়া তৈরি করলেন অজৈব যৌগ অ্যামোনিয়াম সায়ানেট হতে। এই প্রক্রিয়াকে এখন বলা হয় ভোলার সংশ্লেষণ। যদিও ভোলার এসময় এবং পরবর্তিতে প্রাণশক্তি ধ্বংসের দাবির ব্যাপারে সন্দিহান ছিলেন...

জৈব যৌগ এবং অজৈব যৌগ

  জৈব বনাম অজৈব পদার্থসমূহ জৈব ও অজৈব পদার্থ এমন একটি পদার্থের বিস্তৃত দ্বিগুণ যা তাদের মধ্যে ভাগ করে দেয় কার্বন পরমাণু গঠিত এবং যাদের কার্বন পরমাণু থাকে না। যাইহোক, পূর্ববর্তী সময়ে পরিস্থিতি খুব স্পষ্ট ছিল না যখন মানুষ জৈবপদার্থ সম্পর্কে চিন্তা করতেন যেমন জীবের মধ্যে প্রাপ্ত যৌগিক পদার্থগুলি পাওয়া যায়। তারা এই ধরনের যৌগগুলি জীবনের একটি শ্বাস হিসাবে চিন্তা এবং এই পদার্থ ল্যাবরেটরিজ তৈরি বা তৈরি করা যায়নি বিশ্বাস। জার্মান বিজ্ঞানী উইহলার সফলভাবে কৃত্রিম যৌগগুলি থেকে জৈব যৌগসমূহকে সংশ্লেষিত করলে অস্তিত্বহীন বস্তুর মধ্যে মিল পাওয়া যায়। এই একটি বাঁক পয়েন্ট ছিল অবশেষে এটি জৈব যৌগ জীবিত মানুষ পাওয়া যায় যে অসত্য প্রমাণিত হয় শুধুমাত্র। আরেকটি ভিন্নতা যা আগে রাখা হয়েছিল (এবং এটি আজ পর্যন্ত সত্যই) কার্বন পরমাণুগুলির সংমিশ্রিত সমস্ত যৌগের জৈব যৌগ থাকে, তবে যাদের কার্বন নেই তারা অজৈব যৌগ। প্রাথমিকভাবে সেখানে সন্দেহভাজন ছিল কারণ মানুষ বলেছিলেন যে জৈব যৌগের গবেষণা খুব ছোট হবে কারণ অজৈব যৌগ সংখ্যাগুলি খুব বেশি হবে। যাইহোক, সময় পাস হিসাবে, আশ্চর্যজনক আবিষ্কার ছিল এবং এটি কার্বন পরমাণু...

জৈব যৌগ কি ?

  জৈব যৌগ কি ?  জৈব যৌগ বলতে হাইড্রোজেন ও কার্বন দ্বারা গঠিত হাইড্রোকার্বন এবং হাইড্রোকার্বন থেকে উদ্ভূত যৌগসমূহকে বোঝায়। এ সব জৈব যৌগে কার্বনের সাথে প্রধানত হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, সালফার, ফসফরাস, হ্যালোজেন প্রভৃতি মৌল যুক্ত থাকে। যেমন, মিথেন (CH4), মিথাইল ক্লোরাইড (CH3Cl), মিথাইল অ্যালকোহল (CH3OH), অ্যাসিটিক এসিড (CH3COOH) প্রভৃতি প্রত্যেকটি হলো জৈব যৌগ। জৈব যৌগে অবশ্যই কার্বন থাকে, কিন্তু কার্বন থাকলেই জৈব যৌগ নাও হতে পারে। যেমন– CO, CO2, কার্বনেট (Na2CO3), সায়ানাইড প্রভৃতি যৌগ কার্বনযুক্ত হলেও জৈব যৌগ নয়, এরা অজৈব যৌগের বৈশিষ্ট্যের অধিকারী– পোলার, অণুদ্বায়ী, পানিতে দ্রবনীয় এবং দহন অযোগ্য।  হাইড্রোকার্বন কাকে বলে? নাম থেকেই বোঝা যায় যে হাইড্রোকার্বন নামের উৎপত্তি হাইড্রোজেন ও কার্বন থেকে। হাইড্রোজেন ও কার্বন পরমাণুর সমন্বয়ে গঠিত যে যৌগ অন্য কোন মৌল থাকবে না তাদেরকে হাইড্রোকার্বন বলে। যেহেতু হাইড্রোকার্বন গুলি আসলে জৈব যৌগ তাই হাইড্রোকার্বন গুলি দুই ভাগে বিভক্ত যথাক্রমে সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন ও অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন। সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন গুলির রাসায়নিক ...